
আছসালামু আলাইকুম
পাসপোর্ট একটা দেশের নাগরিকের পরিচয় প্রধান প্রধান করে। বিদেশ গমনে সর্বপ্রথম পাসপোর্টের প্রয়োজন হয়। আপনি কোন দেশের নাগরিক, পেশা ইত্যাদি বিদেশের মাটিতে একমাত্র সাক্ষী একমাত্র পাসপোর্ট। এক কথায় পাসপোর্ট ছাড়া বিদেশের মাটিতে আপনি পরিচয়হীন।

পাসপোর্টের ইতিহাস:
আনুমানিক ৪৫০ খ্রিস্টব্দে পাসপোর্টের অনুরূপ নথির সন্ধান পাওয়া যায়। ইসলামিও খেলাফতের সময় শুল্ক প্রধানে এক ধরনের রসিদ ছিলো যা একধরনের পাসপোর্ট বলা হতো। যারা যাকাত ও জিজিয়াকর প্রধান করতো, শুধুমাত্র তারাই খেলাফতের বিভিন্ন অঞ্চলে ভ্রমণ করতো। পরবর্তিতে ইংল্যান্ডের রাজা পঞ্চম হেনরির সময়ে সর্বপ্রথম পাসপোর্টের ধারনা শুরু হয়। ১৫৪০ সালে প্রাইভেসি কাউন্সিল অব ইংল্যান্ড আইন পাশ হওয়ার পর ১৭৯৪ সালে সর্বপ্রথম পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। প্রথম দিকে শুধুমাত্র সরকারি চাকরিজীবীদেরকে পাসপোর্ট দেয়া হতো। তবে জাপান সরকার সাধারন নাগরিকদের জন্য সর্বপ্রথম ১৮৬৬ সালের ২১ শে মে পাসপোর্ট ইস্যু করে।
বাংলাদেশের পাসপোর্টের ইতিহাস:
পশ্চিম পাকিস্তানের আমলে ১৯৬২ সালে নাগরিকদের বিদেশ ভ্রমনের জন্য পরিদপ্তর হিসেবে জোনাল কার্যালয় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী ও খুলনায় পাসপোর্ট অফিস প্রতিষ্ঠিত হয়।বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে পূর্ণাঙ্গ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রথমে হাতে লেখার পাসপোর্ট দেওয়া হতো। পরবর্তীতে ২০১০ সালে ডিজিটাল পাসপোর্ট বা ( মেশিন রিডেবল ) পাসপোর্টের প্রচলন শুরু হয়, যা এখনো চলমান।
ই-পাসপোর্ট:
মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের পর সরকার ঘোষনা দেয় ই-পাসপোর্ট দেওয়ার। তারিই ধারাবাহিকতায় ২০২০ সালের ২২ শে জানুয়ারি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। তারপরিই সাধারন মানুষ ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন শুরু করে।
ফি:
ই-পাসপোর্টের মেয়ার দুই ধরনের ১০ বছর এবং ৫ বছর।
ই-পাসপোর্টের ৫ বছর মেয়াদের ৪৮ পৃষ্ঠা ও ৬৮ পৃষ্ঠা হয়ে থাকে, আবার ১০ বছরের মেয়াদেও ই-পাসপোর্টের ৪৮ পৃষ্ঠা ও ৬৮ পৃষ্ঠা সম্বলিত হয়ে থাকে
৫ বছর ৪৮ পৃষ্ঠা ৪০২৫ টাকা (২১ দিন), জরুরি ৬৩২৫ টাকা (১০ দিন) ও অতিবও জরুরি ৮৬২৫ টাকা (২ দিন)
৫ বছর ৬৮ পৃষ্ঠা ৬৩২৫ টাকা (২১ দিন), জরুরি ৮৬২৫ টাকা (১০ দিন) ও অতিবও জরুরি ১২০৭৫ টাকা (২ দিন)
১০ বছর ৪৮ পৃষ্ঠা ৫৭৫০ টাকা (২১ দিন), জরুরি ৮০৫০ টাকা (১০ দিন) ও অতিবও জরুরি ১০৩৫০ টাকা (২ দিন)
১০ বছর ৪৮ পৃষ্ঠা ৮০৫০ টাকা (২১ দিন), জরুরি ১০৩৫০ টাকা (১০ দিন) ও অতিবও জরুরি ১৩৮০০ টাকা (২ দিন)
এছাড়া ১৫% ভ্যাট যুক্ত হবে
আবেদনের পক্রিয়া:
মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনলাইনে ও অফলাইনে আবেদন করার সুযোগ থাকলেও, ই-পাসপোর্টের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন করা যাচ্ছে। কিছু দিন পর হয়তো অফলাইনেও আবেদন করা যা।
আবেদন করার জন্য https://www.epassport.gov.bd জান এবং প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন ফর্মটি পুরন করুন।
আবেদন করা খুভ সহজ, আবেদন করার পর আবেদন কৃত ফর্মটি প্রিন্ট করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সাথে নিয়ে নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করবেন।
(নোট: আবেদন করার আগে অবশ্যই আপনার নিকটস্থ পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম চালু হয়ছে কিনা, নিজ দায়িত্বে দেখে নিবেন।
তাছাড়া ই-পাসপোর্ট অনলাই পোর্টালে দেখতে পারবেন।
তথ্য উপাত্ত: ইন্টারনেট ও বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর